এড়িয়ে লেখায় যান

নিয়মিত “স্যাসি ওয়াটার” পান পেটের মেদ ও বাড়তি ওজন কমায়।

নভেম্বর 30, 2015

17823_75203_8042
এক ধরনের পানীয় পান করার মাধ্যমে খুব সহজেই পেটের আকৃতি ছোট করা সম্ভব। এই পানীয়টিকে স্যাসি ওয়াটার বলে। সাধারণত পেটের মেদ কমানোর খাদ্য তালিকায় এই পানীয়টি থাকে। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন আমাদের প্রচুর পানি পান করা উচিত। কিন্তু অনেকেই শুধু পানি খেতে পারেন না। সাধারণ খাবার পানিকেই সামান্য একটু পরিবর্তন এনে এক ধরনের আশ্চর্য পানীয়তে পরিনত করা সম্ভব যা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বেশ বিস্ময়কর প্রভাব সৃষ্টি করে। এই পানীয়টি প্রায় ক্যালরি শুন্য এবং এটি হজমক্রিয়াকেও উন্নত করে।
সাধারণত ওজন কমাতে বা পেটের মেদ কমাতে প্রচুর পানি পান করতে বলা হয়ে থাকে। এই পানির পরিমাণ কমপক্ষে ৮ গ্লাস। যদিও এই পরিমাণ প্রতিটি মানুষের পানির চাহিদা জেনেটিক্যালি ও শারীরিক কাজের উপর কম বেশি হতে পারে, তবে ৮ গ্লাস হচ্ছে একটি আদর্শ পরিমাপ। এই পরিমাণ পানি পানের ফলে তা দেহকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। দেহের ইলেক্ট্রলাইট এর ভারসাম্যতা ও পানি ধরে রাখার ক্ষমতা বজায় থাকে। স্যাসি ওয়াটারে থাকে আদা, শশা, লেবু ও পুদিনা পাতা এমন ভাবে আপনাকে ভাল রাখবে যা আপনি হয়তো চিন্তাও করতে পারবেন না।

কী কী লাগবেঃ
পানি- ২ লিটার (বা প্রায় সাড়ে ৮ কাপ)
মিহি কুচি আদা- ১ টেবিল চামচ
শশা- ১টি (মধ্যম আকৃতি)
লেবু- ১টি (মধ্যম আকৃতির)
পুদিনা পাতা- ১২টি (তাজা)

কীভাবে তৈরি করবেন এই পানীয়টি?
শশার খোসা ফেলে দিয়ে স্লাইস করে নিতে হবে। লেবুও চিকন স্লাইস করে নিতে হবে। তারপর একটি জগে ২ লিটার পানি নিয়ে তাতে সবগুলো উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিয়ে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে সেটা আর একটি জগে ছেঁকে নিয়ে সাধারণ পানির পাশাপাশি সারাদিনে এই পানিটা পান করুন।

কখন খাবেন?
দিনের শুরুতেই এই পানি পান করতে পারেন। অর্থাৎ সকালে নাস্তার আগে এই পানি পান করুন ভাল ফল পেতে। পুষ্টিবিদদের মতে নিয়মিত এই পানীয় পান করলে ও কিছু শারীরিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পেটের মেদ কমতে শুরু করে। এই পানীয়টি নিয়মিত পান করার মাধ্যমে অবিশ্বাস্য রকম ওজন কমানো সম্ভব তবে পাশাপাশি অবশ্যই একটি সঠিক খাদ্য তালিকা অনুসরনের করতে হবে।

সতর্কতাঃ
তবে এই পানীয়টি গর্ভবতী ও স্তন্যদাত্রী মায়েরা, পেটের সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিরা এবং পানীয় তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোতে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা খাবেন না।

সিলেট ভ্রমণের বিস্তারিত

অক্টোবর 25, 2015

সিলেট ভ্রমণের বিস্তারিত

✳ সিলেট ঘুরতে গেলে কোথায় ঘুরবেন, কিভাবে যাবেন, সেই সাথে থাকার কিংবা খাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে, সিলেটের অ আ ক খ

সিলেটে ঘুরাঘুরির প্ল্যান করতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন, কোন দিন কোথায় যাবেন, প্ল্যান টা কিভাবে করলে ভালো হবে এসব নিয়ে। কোথা থেকে শুরু করে কোথায় শেষ করবেন আর সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েন এক সাথে কতটি স্পট কভার করতে পারবেন? এই নিয়ে নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন ওপেন ফোরাম থেকে পাওয়া তথ্য গুলোকে সংকলন করে বানানো হয়েছে এই পোস্টটি। এই পোস্টে ব্যবহার করা সব ছবির প্রকৃত ফটোগ্রাফারদের নাম ছবির সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে…

👉 প্ল্যান একঃ আরামদায়ক ভ্রমন

প্রথম দিনঃ সিলেট- ভোলা গঞ্জ (কোম্পানীগঞ্জ ) – সিলেট

দ্বিতীয় দিনঃ সিলেট-খাদিম নগর জাতীয় উদ্যান-মোটরঘাট-রাতারগুল-গোয়াইনঘাট-হাদারপাড়-বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পানথুমাই-গোয়াইন ঘাট- সারিঘাট-জৈন্তাপুর।

অথবা হাদারপাড় থেকে সিলেট।

তৃতীয় দিনঃ সিলেট-সারি ঘাট-লালাখাল-জৈন্তা-তামাবিল-জাফলং-সিলেট/জৈন্তাপুর

চতুর্থ দিনঃ সিলেট-কানাইঘাট-লোভাছড়া-সিলেট।

👉 প্ল্যান দুইঃ দৌঁড়ের উপর ম্যাক্সিমাম স্পট

প্রথম দিনঃ আম্বরখানা-লাক্কাতুরা চা বাগান-হাদারপাড়-বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই-গোয়াইনঘাট-রাতারগুল-মোটরঘাট-সিলেট।

দ্বিতীয় দিনঃ সিলেট-হরিপুর গ্যাস ফিল্ড-কানাইঘাট-লোভাছড়া-সারিঘাট-লালাখাল-সারিঘাট-তামাবিল হয়ে জাফলং/সিলেট।

👉 প্ল্যান তিনঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বর্ডার হাইকিং

প্রথম দিনঃ সিলেট-কানাইঘাট-লোভাছড়া-(হাইকিং)লালাখাল (ক্যাম্প)

দ্বিতীয় দিনঃ লালাখাল-জৈন্তা-তামাবিল-জাফলং (ক্যাম্প)

তৃতীয় দিনঃ জাফলং- পিয়াইন নদী ধরে পান্থুমাই-বিছনাকান্দি (ক্যাম্প)

চতুর্থ দিনঃ বিছনাকান্দি-ভোলাগঞ্জ-সিলেট

================================================================

👉 প্ল্যান একঃ

প্রথম দিনঃ সিলেট- ভোলাগঞ্জ

মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়- ধলাই নদীর স্বচ্ছ নীল পানি-পাথরের কেয়ারি আর ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে প্রকল্প।

সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জের দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার। সিলেট থেকে পাবলিক বাস বা সিএনজি বেবীট্যাক্সি করে টুকের বাজার পর্যন্ত যেতে পারবেন।ভাড়া ৬০ টাকা। রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ রকম খারাপ।টুকের বাজার থেকে আবার বেবীট্যাক্সি করে ভোলাগঞ্জ যেতে হবে। ভাড়া ৩০ টাকা। সিলেট থেকে রিজার্ভ সিএনজি প্রায় ১৫০০-২০০০ টাকার মত চাইতে পারে। বিশেষ কোয়ারীতে যেতে হলে বিজিবি’র অনুমতি নিতে হবে। ইঞ্জিন নৌকার ভাড়া ১০০০- ২০০০/- পর্যন্ত। এখানে থাকার কোন ভালো জায়গা নাই। দুপুরে খাবার জন্যে শুধু মধ্যমমানের হোটেল পাবেন।

দ্বিতীয় দিনঃ

এক. রাতারগুল জলা বনঃ

খুব ভোরে নাস্তা করে সিলেট শহরের আম্বর খানা থেকে একটা সিএনজি রিজার্ভ করে মোটর ঘাট (শ্রিংগি ব্রিজ) চলে যাবেন। ভাড়া ১০০ টাকা জনপ্রতি । সিএনজি যাবে খাদিম নগর জাতীয় উদ্যানের ভিতর দিয়ে। মাঝপথে কিছুক্ষনের জন্য থেকে যেতে পারেন। ভোর বেলার বন একটু অন্যরকম। সময় লাগবে ঘন্টা দেড়েক।

শ্রিংগি ব্রিজ থেকে ছোট ডিঙি নৌকা ভাড়া করতে হবে। একটি নৌকায় মোটামোটি ৬ জন বসতে পারে। ভাড়া নিবে ৩৫০-৬০০ টাকা। বিট অফিস এর অফিসার কে জানিয়ে এর পর বনে প্রবেশ করবেন একদম নিঃশব্দে। ঘন্টা খানেক জলাবন উপভোগ করে আবার চলে আসবেন মোটর ঘাট। এইবার আপনাকে একটি বড় ট্রলার ভাড়া করতে হবে গোয়াইনঘাট যাওয়ার জন্য। ভাড়া পরবে প্রায় ৭০০-১০০০টাকা। গোয়াইনঘাটে পৌঁছাতে লাগবে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা।

দুই. বিছনাকান্দি তিন. পান্থুমাই চার. লক্ষনছড়া

গোয়াইনঘাট বাজারেই দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে অথবা প্যাক করে নিতে পারেন। এরপর আর খাবার কোন জায়গা পাবেন না। গোয়াইন ঘাট থেকে আপনাকে যেতে হবে হাদারপাড়। গোয়াইন ঘাট বাজার থেকে সিএনজি নিয়ে সহজেই হাদারপাড় যাওয়া যাবে। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৪০ টাকা। হাদারপাড় থেকে পানি কম থাকলে হেঁটেই চলে যেতে পারেন আপনার স্বপ্নের স্বর্গীয় স্থান ‘বিছনাকান্দি’। মাঝে একবার তিন টাকা দিয়ে খেয়া পার করতে হবে।

বর্ষার সময় পানি বেশি থাকলে আর একবারে পান্থুমাই আর লক্ষনছড়া দেখে ফেলতে চাইলে হাদারপাড় থেকে সরাসরি একটা বড় নৌকা রিজার্ভ করে নিলেই ভালো। ‘বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই’ এই তিনটি জায়গা ঘুরিয়ে আনতে নৌকার খরচ পরবে ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় ১৫০০-২০০টাকা। লক্ষনছড়া মাঝি চিনে কিনা সেটা আগেই জিজ্ঞেস করে শিওর হয়ে নিবেন। তিনটি জায়গা মোটামোটি ভাবে ঘুরে হাদারপাড় ফিরে আসতে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টা।

এখন রাতে থাকার ব্যবস্থার উপর ডিপেন্ড করে য়াপনার কাছে অপশন থাকবে দু’টিঃ

[ক] সিলেটে থাকার হোটেল ঠিক করে থাকলে হাদারপাড় থেকে সরাসরি সিলেট শহরে ব্যাক করতে পারেন। সিএনজি নিবে জনপ্রতি ৮০টাকা। একটি সিএনজি তে ৫ জন বসতে পারে।

[খ] তামাবিল/জৈন্তাপুর এর দিকে বেশ কিছু রিসোর্ট আছে। আপনার থাকার ব্যবস্থা যদি এইদিকে কোথাও হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে হাদারপাড় থেকে আবার আগের মতই গোয়াইনঘাটে আসতে হবে। গোয়াইন ঘাট থেকে যেতে হবে সারি ঘাট। সিএনজি/লেগুনাতে করে যেতে পারেন। ভাড়া জনপ্রতি ৬০টাকা।

তৃতীয় দিনঃ

এক. জাফলং- সেনগ্রামপুঞ্জিঃ

রাতের বেলা সিলেটে থাকলে সকাল সকাল নাস্তা করে জাফলং এ চলে আসবেন। লোকাল বাসে আসতে সময় লাগবে প্রায় দুই ঘন্টা। ভাড়া নিবে ১০০টাকা। সিএনজি রিজার্ভ করলে নিবে প্রায় ৫০০-৭০০টাকা। জাফলং নেমেই সময় নষ্ট না করে খেয়া পাড় হয়ে যাবেন। ৫-১০ টাকার মত নিবে। নদী পাড় হয়ে পুঞ্জির ভিতর দিয়ে হাঁটা শুরু করতেই দেখবেন খাশিয়াদের সুন্দর সাঁজানো ছবির মত গ্রাম আর পুঞ্জি। সোজা চলে গেলে একটু পরেই পুঞ্জির বাইরে একটা খোলা জায়গায় চলে আসবেন। এরপর পিয়াইন নদী ধরে আবার পূর্ব দিকে হাঁটা দিলেই পাবেন সেনগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা। ঝর্ণা টা পড়েছে ভারতে। এর ঠিক সামনেই আছে সেনগ্রামপুঞ্জি রেস্তোরা। দুপুরে এখানেই খেয়ে নিতে পারেন অথবা সময় থাকলে লালাখালের জন্য ক্ষিদে জমিয়ে রাখতে পারেন।

দুই. জৈন্তা রাজবাড়িঃ

জাফলং থেকে সারিঘাটে ফেরার পথে জৈন্তাপুর বাজারের কাছেই অবস্থিত রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখে নিতে পারেন। সাথে সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রের বাহারি সব টক জাতীয় ফলের বাগান ও দেখে আসতে পারেন।

তিন. লালাখালঃ

জৈন্তা থেকে লোকাল বাস/সিএনজি তেসারিঘাট। সারিঘাটে নেমে ইঞ্জিননৌকা নিয়ে যাওয়া যাবে লালাখাল। আপ-ডাউন ট্রিপে একটা নৌকা নিবে৩৫০-৫০০ টাকা। দুই ঘন্টার মত সময় লাগবে আসা-যাওয়ায়। লালাখালে ছোট একটি টি- এস্টেট আছে। আর একটা নাজিমগর রিসোর্টের রেস্তোরা (রিভারকুইন ০১৭৩৩৩৩৮৮৬৬/০১৭৩৩৩৩৫৫৬০) আছে। দুপুরের খাবার এখানে খেতে পারেন। এরপর সারি ঘাট থেকে আবার সিলেট শহরে অথবা আশাপাশের কোন রিসোর্টেও থাকতে পারেন।

চতুর্থ দিনঃ

একঃ লোভাছড়াঃ
সিলেট থেকে যেতে হবে কানাইঘাট। সিএনজি নিবে প্রায় ৫০০-৭০০টাকা। সময় লাগবে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা। সিএনজি কে আগেই বলে নিবেন আপনাদের কতক্ষন লাগতে পারে। পরে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়েছে বলে হ্যারাস করতে পারে। কানাইঘাট থেকে একটা নৌকা নিয়ে যেতে হবে লোভাছড়া চা-বাগান আর লোভাছড়া জাতীয় উদ্যান। নৌকা ভাড়া নিবে প্রায় ৫০০-৮০০টাকা। এরপর সিলেটে ফিরে আসবেন আগের পথে।

দুইঃ শাহজালাল (রাঃ) মাজার দেখে বিকালটা কাটাতে পারেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।

(অথবা এর উল্টো টা ও করা যেতে পারে)

👉 প্ল্যান দুইঃ

প্রথম দিনঃ

এক. বিছনাকান্দি দুই. পান্থুমাই তিন. লক্ষনছড়া

সিলেট আম্বরখানা থেকে খুব ভোরে সিএনজি নিয়ে হাদারপাড় চলে যাবেন। ভাড়া নিবেন জনপ্রতি ৮০ টাকা। এর আগেই পারলে নাস্তা করে নিবেন। কারন হাদারপাড়ে কিছু পাবেন না। প্তহের মধ্যেই পরবে লাক্কাতুরা চা বাগান। চাইলে নেমে ঘুরে দেখতে পারেন। হাদারপাড় পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘন্টা। হাদারপাড় থেকে পানি কম থাকলে হেঁটেই চলে যেতে পারেন আপনার স্বপ্নের স্বর্গীয় স্থান ‘বিছনাকান্দি’। মাঝে একবার তিন টাকা দিয়ে খেয়া পার করতে হবে।

বর্ষার সময় পানি বেশি থাকলে আর একবারে পান্থুমাই আর লক্ষনছড়া দেখে ফেলতে চাইলে হাদারপাড় থেকে সরাসরি একটা বড় নৌকা রিজার্ভ করে নিলেই ভালো। ‘বিছনাকান্দি-লক্ষনছড়া-পান্থুমাই’ এই তিনটি জায়গা ঘুরিয়ে আনতে নৌকার খরচ পরবে ক্ষেত্র বিশেষে প্রায় ১৫০০-২০০টাকা। লক্ষনছড়া মাঝি চিনে কিনা সেটা আগেই জিজ্ঞেস করে শিওর হয়ে নিবেন। তিনটি জায়গা মোটামোটি ভাবে ঘুরে হাদারপাড় ফিরে আসতে সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টা।

চার. রাতারগুলঃ

হাদারপাড় থেকে চলে আসতে হবে গোয়াইন ঘাট। ভাড়া নিবে জনপ্রতি ৪০ টাকা। গোয়াইন ঘাট থেকে রাতারগুল যাওয়ার জন্য বড় নৌকা ভাড়া করতে হবে। ১০-১২ জনের জন্য একতা নৌকা ভাড়া নিবে প্রায় ৮০০-১৫০০ টাকা। বিট অফিস পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। নৌকার ইঞ্জিনের শক্তির উপর ডিপেন্ড করবে। বিট অফিসের সামনে থেকে আবার ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে বনের ভিতর যেতে হবে। ছোট নৌকার ভাড়া পরবে প্রায় ৩৫০-৫০০টাকা।

রাতারগুল ঘুরা শেষ করে চলে আসবেন মোটরঘাট। সেখান থেকে সিলেট শহর। ভাড়া পরবে জনপ্রতি ১০০টাকা।

দ্বিতীয় দিনঃ

এক. লোভাছড়া

খুব সকালে আম্বরখানা থেকে সিএনজি নিয়ে কানাই ঘাট। ভাড়া নিবে ৫০০-৭০০ (ওয়ান ওয়ে বলে নিবেন)। সময় লাগবে দেড় থেকে দুই ঘন্টা। এরপর নৌকা নিয়ে লোভাছড়া চা-বাগান আর জাতীয় উদ্যান দেখতে যাবেন। নৌকা নিবে প্রায় ৬০০-৮০০টাকা। যেতে আসতে সময় লাগবে প্রায় ঘন্টা খানেক।

কানাইঘাটে ফিরে আপনি সোজা সিএনজি ঠিক করে চলে যাবেন সারিঘাট। সারিঘাট থেকে লালাখাল। উপরে লালাখাল যাওয়ার বিস্তারিত দেয়া আছে।

লালাখাল থেকে ফিরে জৈন্তা হয়ে চলে যাবেন জাফলং। সেনগ্রামপুঞ্জি ঝর্ণা দেখে, রেস্তোরায় খেয়ে দেয়ে বিকাল টা মেঘালয়ের পাহাড়ে ঢলতে দেখে আবার রাতের মধ্যে শহরে ফিরে ঢাকার বাস/ট্রেন ধরতে পারেন।

ফেরার পথে সময় আর তেল থাকলে নেমে জৈন্তা রাজবাড়ি টা দেখে নিতে পারেন।

👉 প্ল্যান তিনঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট বর্ডার হাইকিং

এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলার নাই। সাথে থাকবে নিজেদের সব প্রয়োজনীয় জিনিস। একদিক থেকে হাঁটা শুরু করবো। এরপর বর্ডার ধরে এগুতে থাকবো…

যেদিকে হবে রাইত, সেখানেই কাইত।

ঢাকা থেকে সিলেটঃ

ট্রেনঃ ঢাকা থেকে সিলেট এর রাতের ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়ে রাত ১০টায়। সিলেট পৌঁছায় সকাল ৭টায়।

বাসঃ শ্যামলী,হানিফ, গ্রীন লাইন, সোহাগ, সাউদিয়া, এস আলম, এনা (ঘোড়াশাল-টঙ্গী রুট)।

হোটেলঃ সিলেট শহরে থাকার জন্য অনেকভালো মানের হোটেল আছে। শহরের নাইওরপুল এলাকায় হোটেল ফরচুন গার্ডেন (০৮২১-৭১৫৫৯০)।

জেল সড়কে হোটেল ডালাস (০৮২১-৭২০৯৪৫)। ভিআইপি সড়কে হোটেল হিলটাউন (০৮২১-৭১৮২৬৩)। লিঙ্ক রোডে হোটেল গার্ডেন ইন (০৮২১-৮১৪৫০৭)।

আম্বরখানায় হোটেল পলাশ (০৮২১-৭১৮৩০৯)। দরগা এলাকায় হোটেল দরগাগেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬)। হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩)।

জিন্দাবাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০)। তালতলায় গুলশান সেন্টার (০৮২১-৭১০০১৮) ইত্যাদি।

** জৈন্তাপুর ও তামাবিলে বেশ কিছু উচ্চমানের রিসোর্ট আছে যেমনঃ এই জায়গা গুলোতে থাকতে পারলে তাহলে আর কষ্ট করে সিলেট শহরে ফিরতে হবে না। আরামসে একদিন বিলাস বহুল ভাবে কাটিয়ে ঘুরফিরে চলে আসা যাবে।

জৈন্তা হিল রিসোর্টঃ ওয়েব সাইট / ফোনঃ বাহার (০১১৯৩২১৮৯৯৯)

বিজিবি সম্মেলন কেন্দ্রেঃ সুন্দর, দামী আর জায়গা পাওয়া কষ্টকর। তাই বুকিং নিশ্চিত করে যাওয়া টা উত্তম। যোগাযোগঃ ০১৯৬২৪০৫৮৬৪ (মাহবুবুল)

নলজুড়ি উপজেলা সরকারি ডাকবাংলোঃ পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে এইখানে থাকতে পারেন। সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য প্রতিটি রুম ৫০০টাকা। আর সিভিলিয়ানদের জন্য ১৫০০টাকা। আমার থাকা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুন্দর ডাকবাংলো। এখান থেকে তামাবিলের বিখ্যাত তিন ঝর্ণাই দেখা যায়।

খাবার রেস্তোরাঃ পানশি, পাঁচ ভাই জনপ্রিয় দুটি রেস্তোরা। এছাড়া আছে উন্ডাল সহ সব নামি-দামি খাবার দোকান।

বিঃদ্রঃ

১. ঘুরতে যাওয়ার সময় চোখ কান বুজে দৌঁড়ানোটা বোকামী, তাই হাতে ভালো সময় নিয়ে ঘুরতে যাওয়া উচিৎ।

২. খুব ভোরে দিন শুরু করতে পারলে একদিনে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।

৩. স্থানীয় মানুষদের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরন করুন। ভাব-ভঙ্গি ভালো হলে বাংলাদেশ সাহায্য পাওয়ার সব চাইতে ভালো জায়গা।

৪. পরিবেশ নোংরা করবেন না। আপনার চিপস/বিস্কিট অ অন্যান্য পলি জাতীয় আবর্জনা সাথে করে নিয়ে আসুন।

৫. এই জায়গা গুলো ভালো মত কম খরচে ঘুরার জন্য ৩-৫ জনের টীম সবচেয়ে আদর্শ।

৬. এখানে উল্লেখিত বিভিন্ন ভাড়া/দাম এর ব্যাপার টা মোটেও ফিক্সড কিছু না। পর্যটকদের চাপ বাড়লে এই দামগুলো বেড়ে যায়। আবার ভিড় কম হলে কমে যায়। তাই এখানে সম্ভাব্য একটি সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন রেঞ্জ দেয়া হয়েছে। এইক্ষেত্রে সব সময় দামাদামি করে নেয়া টা বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার কাছে সব কিছুর দাম হাঁকিয়েই বলবে কিন্তু জোর গলায় দামাদামি করে নিবেন।

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

তৈরি করুন এয়ার ফ্রেশনার

অক্টোবর 27, 2011

আপনি নিজে একবার এয়ার ফ্রেশনার তৈরি করা শিখে গেলে আর কখনোই বাজারেরটি কিনবেন না। অনেকে বলে থাকেন যে, ভিনেগার এবং বেকিং সোডা দিয়ে বাড়িতে তৈরি ফ্রেশনার দুগন্ধ দূর করে, সঙ্গে সঙ্গে চমৎকার একটি সুগন্ধও ছড়ায়। লেবু এবং বেকিং সোডা হচ্ছে চিরাচরিত দুর্গন্ধ নাশক এবং ফ্রেশনার তৈরির জন্য এর চেয়ে সহজ পদ্ধতি আর হতে পারে না।

উপাদানসমূহ

১ চা চামচ বেকিং সোডা
১ টেবিল চামচ লেবুর রস
২ কাপ (৫০০মিলি) পানি

নির্দেশনা

১. উপাদানসমূহ একটি পাত্রে নিয়ে চামচ দ্বারা নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না তাতে শব্দ হয়।
২. ভালোভাবে মেশানো হলে মিকচারটুকু একটা স্প্রে বোতলে ভরে ফেলুন। তৈরি হয়ে গেলো এয়ার ফ্রেশনার। ঘরকে সুগন্ধময় রাখতে হান্ডমেড ফ্রেশনার দিনে দুই থেকে তিন বার স্প্রে করা দরকার।

রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে

যারা মোবাইল দিয়ে বাংলা ব্লগ সাইট ব্যবহার করেন ।

জুন 26, 2011

অনেকেই আছেন মোবাইল দিয়ে সামুতে আসেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অপেরা মিনি বা uc browser কোনোটি দিয়েই ব্লগ লেখা যায় না,শুধুমাত্র মন্তব্য করা যায়। কোনো সমস্যা নেই । bolt indic নামক ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন ।
বাকী অংশ

এক্সেলে সংখ্যা থেকে শব্দে লেখা

জানুয়ারি 8, 2011

মাইক্রোসফট এক্সেলের অনেক ব্যবহারকারীই জানেন না যে, এতে সংখ্যা লিখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার শাব্দিক রূপ দেওয়া যায়।অর্থাৎ হিসাবের দরকারি অংশ নিউমেরিক থেকে ইনওয়ার্ড হয়ে যাবে। আপনি ১০০.৫০ লিখলে তা দেখাবে One Hundred Taka and Paisa Fifty. নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে সহজেই তা করা যাবে। এ জন্য নোটপ্যাড খুলে নিচের সংকেত লিখতে হবে।এই সংকেত কপি করে রাখতে হবে। পরে তা এক্সেলে ব্যবহার করতে হবে।
বাকী অংশ পড়ুন

Hotmail & Yahoo Setup instructions for N97/N95

জানুয়ারি 5, 2011

জেনে নিই মোবাইলে হটমেইল ও ইয়াহু মেইল বক্স সেটআপ করার নিয়ম ।

click here for Details

মাধবপুর হ্রদ

জানুয়ারি 4, 2011

নন্দ ভ্রমন কিংবা পিকনিক করতে বন্ধুরা মিলে চলে আসুন মাধবপুর লেকে। দিনের প্রথম দিকে অথবা আসতে পারেন পড়ন্ত বিকেলে। গাড়ি থেকে নামতেই সবুজ পাতার গন্ধ মনকে চাঙ্গা করে তুলব। চারদিকে সবুজ পাহাড়। পাশাপাশি উঁচু উঁচু টিলা। সমতল চা বাগানে গাছের সারি। হয়তো এরই মাঝে একঝাঁক পাখি অথিতিদের আমন্ত্রন জানাবে তার সুরের মুর্চ্ছনা দিয়ে। পাহাড়ী পাখীর গান আর নৃত্য ছাড়াও দেখতে পাবেন নানান প্রজাতির বন্যপ্রাণী।

বাকী অংশ ঃমাধবপুর হ্রদ

রেখে দিন ফেসবুকের সব তথ্য

নভেম্বর 11, 2010

আজকাল প্রায়ই ই-মেইল ঠিকানা, ফেসবুক ঠিকানা বেদখল হওয়ার (হ্যাকিং) ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ ছবি, তথ্য ও আপনার অনেক বন্ধুর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যদি হ্যাকড হয়ে যায় বা কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায়, তখন সবকিছুই হারিয়ে যাবে। বিস্তারিত ঃ রেখে দিন ফেসবুকের সব তথ্য

খোলা চিঠি (০১)

নভেম্বর 8, 2010


প্রিয়তমা,
এখন বসন্তকাল । ফুলে ফুলে সেজেছে পৃথিবী । আকাশ বাতাস আজ মুখরিত বসন্তের পাখিদের গানে । এই সব সুন্দর্যের শুভেচ্ছা জানাই তোমাকে আমার প্রেমের খোলা চিঠির প্রথমেই । কেমন আছো ? নিঃশ্চয়ই ভাল । তোমাকে ভাল থাকতেই হবে । কারন তুমি যদি ভাল না থাক তবে ফুলের সুবাসে সুরভীত হবে না এই ধরনী, আকাশে বাতাস মুখরিত হবেনা পাখিদের গানে । আর আমি ? আমার চারিদিকে সুখের নিরলস বিচরন ,দুঃখরা পালিয়েছে অনেক অনেক দূরে ।
বিস্তারিত পড়ুন: প্রিয়তমা

হটমেইল থেকেই সব মেইল

নভেম্বর 6, 2010


হটমেইল থেকেই জিমেইল, ইয়াহুর মেইল ইনবক্স দেখার সুবিধা চালু করেছে মাইক্রোসফট।প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যাঁরা একাধিক ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করেন, তাঁদের মেইল ইনবক্স পরীক্ষার জন্যও আলাদা সব কটি ঠিকানায়ই লগ-ইন করতে হয়। হটমেইল ব্যবহারকারীরা যাতে একের মধ্যেই সব মেইল পরীক্ষা করতে পারেন সে জন্য আমরা বিশেষ এ সুবিধা চালু করেছি।
বিস্তারিত :হটমেইল থেকেই